নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মহেশখালী উপজেলার কেরুনতলীর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দালালদের উৎপাত চরম পর্যায়ে পৌঁছে। এতে সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ওই অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে দালাল চক্র এই উৎপাত চলাচ্ছে। এই দালাল সিন্ডিকেট সেবাপ্রার্থীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কিন্তু তা দেখেও নিশ্চুপ রয়েছে ওই অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণের বর্তমানে খাজনা আদায় করার জন্য জমির মালিকেরা ভিড় করছে। এই নিয়ে এক প্রকার প্রতিযোগিতা চলছে। এই সুযোগকে পুঁজি করে উপদ্রব বেড়েছে দালালের। এসব দালালরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল টাকা। এতে হয়রানি ও ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ সেবাপ্রার্থীদের।
অভিযোগ মতে, খাজনা আদায়ের জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকেই সিরিয়াল দিয়ে রাখতে হয়। সিরিয়াল মতো খাজনা নেয়া হয়। কিন্তু মোটা টাকা নিয়ে গোপনে সাথে খাজনা করিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে সিরিয়াল দেয়া লোকজন দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়েও খাজনা দিতে পারছে না।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, এই অপকর্মের জন্য ওই অফিসের কর্মচারী হাসেমের নেতৃত্বে একটি দালাল সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে স্থানীয় আমান উলাহ, ফতে আলি, ধলাইয়া, সাহাব উদ্দীন, আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ আবুইয়্যা, মুজিবুল হক প্রকাশ ফকিরা। তারা হাসেমের পরামর্শ মোতাবেক মোটা টাকার বিনিময়ে গোপনে খাজনা আদায় করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে তহসিলদার জয়নুল আবেদীনকে ভুক্তভোগীরা প্রায় সময় অভিযোগ করলেও তিনি রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ রয়েছেন। তাই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসিল্যান্ডের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
পাঠকের মতামত: